top of page

প্রলয় দে

অক্টোবর'২১ থেকে সুবিধাভোগী

ত্রিপুরার উদয়পুরের মুখ ও পায়ের চিত্রকর।

প্রলয় ওড়িশার মধুবনী চিত্রকলা নামক একটি অত্যন্ত বিরল শিল্পকলায় বিশেষজ্ঞ, এই রূপের জন্য প্রচুর দক্ষতা এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন। প্রলয় বর্তমানে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন এবং শিল্পক্ষেত্রে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
প্রলয়কে ২০২২ সালে ত্রিপুরা ও ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী মাউথ অ্যান্ড ফুট পেইন্টিং আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (MFPA) - প্রতিবন্ধী শিল্পীদের একটি আন্তর্জাতিক নিবন্ধিত সমিতি - দ্বারা একজন ছাত্র শিল্পী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।

প্রলয় দে ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারী উদয়পুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার উভয় অঙ্গই অকার্যকর ছিল। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর এবং তার মা একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। প্রলয় স্কুলে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং পা দিয়ে লিখতেন। তিনি তার স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা দুর্দান্ত সাফল্যের সাথে পাস করেছিলেন। একই সাথে, তিনি তার পা দিয়ে ছবি আঁকতেও আগ্রহী ছিলেন। প্রচুর অনুশীলন এবং নিষ্ঠার সাথে, তিনি তার পা দিয়ে তার চিত্রকলার দক্ষতা আয়ত্ত করেছিলেন এবং অনেক রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পুরষ্কার জিতেছিলেন।
তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় শিল্প প্রতিযোগিতা, শিশু শিল্প ফাউন্ডেশন, রাজ্য স্তরের কলা উৎসব ইত্যাদির অংশ ছিলেন।
আমরা শুহৃদে, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রলয়ের সাথে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি যাতে তাকে তার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে, তাকে তার ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করতে এবং তার শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করা যায়। প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, আমরা তাকে MFPA প্রক্রিয়ায় নাম লেখানোর জন্যও পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা তাকে MFPA-তে আবেদন করতে সাহায্য করেছি যাতে সে আয় ও জীবিকার একটি স্থিতিশীল উৎস পেতে পারে। বর্তমানে আমরা তার সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি যাতে তাকে তার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং একটি রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি জাতীয় সম্পদ হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করা যায়।

bottom of page